শরীফ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা:
দক্ষিণ সুরমায় সবজি মৌসুমে অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। দেশব্যাপী পিয়াজ কান্ডের অবসানের আগেই সবজি মৌসুমে দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা মসজিদ বাজার, পুলের মুখ, স্টেশন রোডসহ প্রায় শতাদিক দোকানে সকল সবজিতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। নি¤œ আয়ের ও মধ্যবিত্তরা সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে স্থানীয় জনসাধারনের ক্রয়সীমার বাহিরে রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিলেট বন্দরবাজার খুচরা সবজি ব্যবসায়ীদের তুলনায় স্টেশন রোড ও ভার্থখলায় বেশি দামে বিক্রি করছে। জনমতে দেখা যায়, সবজি ক্রয় করে ব্যবসায়ীদের বিক্রি করতে যে মুলধন প্রয়োজন হয়, তা স্টেশন রোড ও ভার্থখলা’র ব্যবসায়ীদের তুলনায় বন্দরবাজার ব্যবসায়ী বেশি ব্যয় করতে হয়। তবুও স্টেশন রোড ও ভার্থখলায় সবজির দাম বেশি রাখে ব্যবসায়ীরা।
ক্রয়সুত্রে জানাযায়, বন্দরবাজারে আলু ২০টা, স্টেশন রোড ভার্থখলা সবজি বাজারে ২৫ থেকে ২৮ টাকা, বন্দরবাজারে পাতাকপি ৩০টা, স্টেশন রোড ভার্থখলা সবজি বাজারে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বন্দরবাজারে ভ্যান্ডি ৩০টা, স্টেশন রোড ভার্থখলা সবজি বাজারে ৫০টাকা, বন্দরবাজারে টমেটো ৪০টা, স্টেশন রোড ভার্থখলা সবজি বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা সহ প্রায় ১২টি সবজিতে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রায় সময় দেখা যায়, একেক ক্রেতার সাথে একেক রকম দাম বিক্রি করে।
স্টেশন রোডের ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী সাইফুল আলম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি’র চড়া দামে বিক্রির ফলে এই রোডের ব্যবসা বাণিজ্য কম হয়। কারণ সাধারণ জনগন সাধ্যমত ক্রয় করতে পারে না তাই এই রোডে বাজার করতে আসেনা। এজন্য অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ভোক্তভোগী। সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মান সঠিক রাখলে ব্যবসায়ীরা বেশি বেশি ক্রেতা পাবে এবং সবজি’র বাজার সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবে। তাই আমি প্রশাসনের সহযোগিতা সহ স্থানীয়দের এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আহবান জানাই।
এব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর, সিলেট জেলা’র সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গির আলম জানান, সবজি মৌসুমে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শীগ্রই অভিযান পরিচালিত হবে। আমরা তাদের ক্রয়কৃত মেমো দেখা সার্বিক পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেব। দেশে সকল পণ্যে অতিরিক্ত দামের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং জনসাধারণ তার সুফল ভোগ করছে।